Article, Human Rights, News Flash

ন্যায্য ক্ষতিপূরন: নিরাপদ কর্মস্থল নিশ্চিত কর

আজ ২৪ এপ্রিল-২০২৪, রানা প্লাজা হত্যাকান্ডের ১১ বছর। শ্রমজীবি মানুষের শোকার্ত এই দিনে গ্রীণ বাংলা গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশন ও ন্যাশনাল ওয়ার্কার্স ইউনিটি সেন্টারের যৌথ উদ্যোগে সাভারে রানা প্লাজার সামনে অবস্থিত শহীদ বেদীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পন করেন।গ্রীণ বাংলা গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশন ও ন্যাশনাল ওয়ার্কার্স ইউনিটি সেন্টারের সভাপতি সুলতানা বেগম এর নেতৃত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইলিয়াস, সহ-সভাপতি সেলিনা হোসেন, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক রোজিনা আক্তার সুমি, নারী কমিটির সাধারণ সম্পাদক আমরিন হোসাইন এ্যানি, প্রচার সম্পাদক মোঃ তাহেরুল ইসলাম, আশুলিয়া আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি মোঃ ইউসুফ শেখ ও মোঃ হান্নান প্রমুখ।নেতৃবৃন্দ বলেন রানা প্লাজা নির্মম হত্যাকান্ডের ১১ বছর আজ। এগারো বছর আগে ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সাভারের রানা প্লাজায় ঘটে দেশের ইতিহাসের এক ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়। ২৪ এপ্রিলের ওই ভবনধস নেহাত কোনো দুর্ঘটনা নয়, বরং তা সুস্পষ্টভাবেই মালিকপক্ষের অবহেলাজনিত হত্যাকান্ড। আট তলা ভবনে অবৈধভাবে স্থাপন করা গার্মেন্ট কারখানাটি ধসে পড়ে নিহত হন ১ হাজার ১৩৪ জন শ্রমিক। ধ্বংসস্তপের নিচ থেকে ২ হাজার ৪৩৮ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। সহ¯্রাধিক শ্রমিক গুরুতর আহত হন; যাঁদের অধিকাংশই  কর্মক্ষমতা হারিয়ে পঙ্গুত্ব জীবনযাপনে বাধ্য হয়েছেন। তাদের সবাই ছিলেন পোশাক শ্রমিক। হৃদয়বিদারক এ ঘটনা শুধু দেশ নয়, নাড়িয়ে দিয়েছিল গোটা বিশ্বের গণমাধ্যমকে।নেতৃবৃন্দ বলেন  বাংলাদেশে শ্রমিকেরা সংগঠিত হওয়ায় শ্রম আইনের কঠিন বাধ্যবাধকতা,কর্মক্ষেত্রে মানবিক অধিকারের অভাব, শ্রমিকের কাজের নিরাপত্তা না থাকায় বাংলাদেশে আইএলও কনভেনশন লঙ্ঘন করা হচ্ছে। কলকারখানাসহ অন্যান্য কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তার বিষয়টি অবহেলা করায় বাংলাদেশ শুধু ঝড়-বন্যার দেশ হিসেবে নয়, দুর্ঘটনাপ্রবণ দেশ হিসেবেও পরিচিত।

ন্যায্য ক্ষতিপূরন: নিরাপদ কর্মস্থল নিশ্চিত কর Read Post »