Human Rights – National Workers Unity Centre

Human Rights

Human Rights, News Flash

শ্রমিকদের অধিকার সর্বোচ্চ মানবাধিকার গার্মেন্টস শ্রমিকদের

১০ ডিসেম্বর ২০২৪ইং রোজ মঙ্গলবার সকাল ১১:০০টায় মিরপুর-১১ বাংলা স্কুল এন্ড কলেজ(বালক) এর সামনে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস-২০২৪ উপলক্ষে ন্যাশনাল ওয়ার্কার্স ইউনিটি সেন্টার ও গ্রীণ বাংলা গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের যৌথ উদ্যোগে মানববন্ধন ও র‌্যালী অনুষ্ঠিত। মানববন্ধনে ন্যাশনাল ওয়ার্কার্স ইউনিটি সেন্টারের সভাপতি সুলতানা বেগম এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইলিয়াস, সহ-সভাপতি সুইটি, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক রোজিনা আক্তার সুমি, প্রচার সম্পাদক মোঃ তাহেরুল ইসলাম, ন্যাশনাল ডমেস্টিক ওয়ার্কার্স সেন্টারের সভাপতি খাদিজা আক্তার,সহ-সভাপতি জোসনা বেগম, অর্থ সম্পাদক আমেনা বেগমসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। সভাপতির বক্তব্যে সুলতানা বেগম বলেন শ্রমিকের অধিকার সর্বোচ্চ মানবাধিকার। প্রত্যেকেরই জীবন, স্বাধীনতা এবং নিরাপত্তার অধিকার রয়েছে। মানবাধিকার বিষয়টি গভীরভাবে উপলব্ধি করার জন্য নিজের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হলেই হবে না, অন্যের অধিকারকেও সম্মান করতে হবে। অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসা মানুষের মৌলিক অধিকার হলেও শ্রমিক-কর্মচারীরা অনেক ক্ষেত্রে সে অধিকার থেকে বঞ্চিত। সকল শ্রমিকের কাজের নিশ্চয়তা, সম-কাজে সম-মজুরী, প্রাতিষ্ঠানিক-অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে নারী শ্রমিকদের মাতৃত্বকালীন ছুটি ৬মাস, সহিংসতামুক্ত কর্মপরিবেশ, নিরাপদ কর্মস্থল, সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। আমাদের বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মানবাধিকার সুরক্ষিত রাখার স্বার্থে পরবর্তী বিশ্ব গড়তে নিজ নিজ ভূমিকা পালন করতে হবে। বক্তাগন বলেন দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে শ্রমজীবী মানুষের জীবন নাভিশ্বাস উঠছে। শ্রমিকদের স্বল্প মজুরি, শ্রমিকদের চাকরি হারানোর ঘটনা একদিকে যেমন শ্রমিকদের আশংকিত করছে, তেমনি বাড়িভাড়া ও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি তাদেরকে আরো অসহায় করে ফেলেছে। এহেন অবস্থায় অতিদ্রুত গার্মেন্টস শ্রমিকদের জন্য প্রস্তাবিত বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট ৯ শতাংশ দ্রুত কার্যকর করতে হবে। মানবাধিকার হচ্ছে প্রত্যেকটি মানুষের জন্মগত অধিকার। জন্মগতভাবে সকল মানুষ স্বাধীন এবং সমান সম্মান ও মর্যাদার অধিকারী। মানবাধিকার সব জায়গায় এবং সবার জন্য, এ অধিকার তার আইনগত অধিকার। প্রতি বছর ১০ ডিসেম্বর মানবাধিকার দিবস পালিত হয়ে আসছে। মানবাধিকার বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে মূল দায়িত্ব রাষ্ট্র বা সরকারের। সম্প্রতি নারীর প্রতি সহিংসতা, ধর্ষণ ও হামলার ঘটনা ভয়াবহ রূপ ধারন করেছে। প্রতিনিয়ত কর্মস্থলে যাতায়াতসহ বিভিন্ন সময় নারীরা যৌন সহিংসতার শিকার হচ্ছে। এধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে মামলার বিচার দ্রুত নিষ্পত্তি করে প্রকৃত দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শান্তি নিশ্চিতসহ আইএলও কনভেশন ১০২, ১৮৯ ও ১৯০ অনুস্বাক্ষর করা প্রয়োজন।

শ্রমিকদের অধিকার সর্বোচ্চ মানবাধিকার গার্মেন্টস শ্রমিকদের Read Post »

Article, Human Rights, News Flash

রেশনিং ব্যবস্থা চালুর দাবিগার্মেন্টস শ্রমিকদের

গার্মেন্টস শ্রমিকদের রেশনিং ব্যবস্থা চালুর দাবি জানিয়েছে গ্রিন বাংলা গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশন ও ন্যাশনাল ওয়ার্কার্স ইউনিটি সেন্টার। বুধবার (১ মে) সকাল সাড়ে ৯টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মহান মে দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত শ্রমিক সমাবেশ ও লাল পতাকা মিছিলে এ দাবি জানান সংগঠনের নেতারা। সমাবেশে গ্রিন বাংলা গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশন ও ন্যাশনাল ওয়ার্কার্স ইউনিটি সেন্টারের সভাপতি সুলতানা বেগমের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মো. ইলিয়াস, সহ-সভাপতি মিসেস সুইটি, সেলিনা হোসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ফরিদ উদ্দীন, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক রোজিনা আক্তার সুমি, নারী কমিটির সাধারণ সম্পাদক আমরিন হোসাইন এ্যানি। আরও বক্তব্য রাখেন দপ্তর সম্পাদক রাবেয়া ইসলাম, আশুলিয়া থানা কমিটির সভাপতি ইউসুফ শেখ, আঞ্চলিক কমিটির মো. তাহেরুল ইসলাম, মো. সুমন হোসেন মোল্লা, মিস্টার শেখ, মো. ফারুক হোসেন, নাসরিন আক্তার, শাবনুর, অঞ্জলী, স্বপ্না আক্তার, নুরজাহান, জোসনা বেগম, সালমা বেগম, রোকসানা ও আমেনাসহ অনেকে। সভাপতির বক্তব্য ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি সুলতানা বেগম বলেন, বিশ্বের শ্রমজীবী মানুষের ন্যায্য অধিকার আদায়ের ঐতিহাসিক দিন আজ। শ্রমিকদের আত্মত্যাগের এই দিনে সারা বিশ্বে একযোগে ‘মহান মে দিবস’ হিসেবে পালিত হচ্ছে। ১৮৮৬ সালের ১ মে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরে শ্রমজীবী মানুষ নিপীড়নের বিরুদ্ধে গড়ে তুলেছিলেন দুর্বার আন্দোলন। আমাদের দেশে এখনো শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি, কর্মঘণ্টা ও নিরাপদ কর্মস্থলের জন্য আন্দোলন করতে হচ্ছে। তিনি বলেন, একজন নারী শ্রমিক শ্রম আইন অনুযায়ী সব অধিকারের সমান অংশীদার হলেও বাস্তবতা ভিন্ন। নারী শ্রমিক অধ্যুষিত গার্মেন্টস ও অন্যান্য ক্ষুদ্র শিল্প ও অপ্রাতিষ্ঠানিক সেক্টরে স্বল্প মজুরি, খণ্ডকালীন নিয়োগ, যখন তখন ছাঁটাই ও অধিক শ্রমঘণ্টায় কাজ করানো হয়। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী নারী শ্রমিকদের কর্মক্ষেত্র থেকে সাপ্তাহিক ছুটি, মাতৃত্বকালীন ভাতা, ছুটি ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পায় না। সমাবেশে নেতারা বলেন, কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় শ্রমিকের মৃত্যু হলে বা কোনো শ্রমিক গুরুতর আহত বা পঙ্গু হলে তাদের পরিবার পুরোপুরি নিঃস্ব হয়ে পড়ে। কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় নিহত বা গুরুতর আহত হয়ে কর্মক্ষমতা সম্পূর্ণ নষ্ট হলে, আইএলও কনভেনশন ১২১ মানদণ্ড অনুযায়ী তাকে আজীবন আয়ের সমান ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। আহত শ্রমিকদের চিকিৎসা, পুনর্বাসন, কাজে ফেরার ব্যবস্থা করতে হবে। সংগঠনের নেতাদের দাবি, শ্রমিক কর্মচারী বা নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য বিশেষ করে গার্মেন্টস, নির্মাণ, পরিবহন, হোটেল, রেস্টুরেন্ট, চা শ্রমিক, রিকশা শ্রমিক, হকার, চাতাল, ওয়েল্ডিং, গৃহ শ্রমিক, বিউটি পার্লার, হিজরা ও অটো রাইস মিল শ্রমিকদের জন্য রেশনিং ব্যবস্থার মাধ্যমে স্বল্পমূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য, যেমন চাল, ডাল, তেল, চিনি সরবরাহ করতে হবে। এই সংকট নিরসনের জন্য বাজারদরের সঙ্গে সংগতি রেখে মহার্ঘ ভাতা প্রদান করা আজ অত্যন্ত জরুরি। শ্রমজীবীদের দাবিগার্মেন্টস শ্রমিকদের রেশনিং ব্যবস্থা চালু করা, ২০২৩ সালে ঘোষিত মজুরি বাস্তবায়ন করা, সকল শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা, অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার নিশ্চিত করা, ৬ মাসের মাতৃত্বকালীন ছুটির আইন করা, জাতীয় বাজেটে শ্রমিকদের জন্য সুনির্দিষ্ট বরাদ্দ, আইএলও কনভেনশন ১০২, ১৮৯ ও ১৯০ অনুস্বাক্ষর করা, শ্রমিক স্বার্থবিরোধী কালো আইন বাতিল করা, নিরাপদ কর্মস্থল ও কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা, আউটসোর্সিং প্রথা ও ছাঁটাই-নির্যাতন বন্ধ করা, অবিলম্বে জাতীয় ন্যূনতম মজুরি কমিশন গঠন করা।

রেশনিং ব্যবস্থা চালুর দাবিগার্মেন্টস শ্রমিকদের Read Post »

Article, Human Rights, News Flash

ন্যায্য ক্ষতিপূরন: নিরাপদ কর্মস্থল নিশ্চিত কর

আজ ২৪ এপ্রিল-২০২৪, রানা প্লাজা হত্যাকান্ডের ১১ বছর। শ্রমজীবি মানুষের শোকার্ত এই দিনে গ্রীণ বাংলা গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশন ও ন্যাশনাল ওয়ার্কার্স ইউনিটি সেন্টারের যৌথ উদ্যোগে সাভারে রানা প্লাজার সামনে অবস্থিত শহীদ বেদীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পন করেন।গ্রীণ বাংলা গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশন ও ন্যাশনাল ওয়ার্কার্স ইউনিটি সেন্টারের সভাপতি সুলতানা বেগম এর নেতৃত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইলিয়াস, সহ-সভাপতি সেলিনা হোসেন, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক রোজিনা আক্তার সুমি, নারী কমিটির সাধারণ সম্পাদক আমরিন হোসাইন এ্যানি, প্রচার সম্পাদক মোঃ তাহেরুল ইসলাম, আশুলিয়া আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি মোঃ ইউসুফ শেখ ও মোঃ হান্নান প্রমুখ।নেতৃবৃন্দ বলেন রানা প্লাজা নির্মম হত্যাকান্ডের ১১ বছর আজ। এগারো বছর আগে ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সাভারের রানা প্লাজায় ঘটে দেশের ইতিহাসের এক ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়। ২৪ এপ্রিলের ওই ভবনধস নেহাত কোনো দুর্ঘটনা নয়, বরং তা সুস্পষ্টভাবেই মালিকপক্ষের অবহেলাজনিত হত্যাকান্ড। আট তলা ভবনে অবৈধভাবে স্থাপন করা গার্মেন্ট কারখানাটি ধসে পড়ে নিহত হন ১ হাজার ১৩৪ জন শ্রমিক। ধ্বংসস্তপের নিচ থেকে ২ হাজার ৪৩৮ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। সহ¯্রাধিক শ্রমিক গুরুতর আহত হন; যাঁদের অধিকাংশই  কর্মক্ষমতা হারিয়ে পঙ্গুত্ব জীবনযাপনে বাধ্য হয়েছেন। তাদের সবাই ছিলেন পোশাক শ্রমিক। হৃদয়বিদারক এ ঘটনা শুধু দেশ নয়, নাড়িয়ে দিয়েছিল গোটা বিশ্বের গণমাধ্যমকে।নেতৃবৃন্দ বলেন  বাংলাদেশে শ্রমিকেরা সংগঠিত হওয়ায় শ্রম আইনের কঠিন বাধ্যবাধকতা,কর্মক্ষেত্রে মানবিক অধিকারের অভাব, শ্রমিকের কাজের নিরাপত্তা না থাকায় বাংলাদেশে আইএলও কনভেনশন লঙ্ঘন করা হচ্ছে। কলকারখানাসহ অন্যান্য কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তার বিষয়টি অবহেলা করায় বাংলাদেশ শুধু ঝড়-বন্যার দেশ হিসেবে নয়, দুর্ঘটনাপ্রবণ দেশ হিসেবেও পরিচিত।

ন্যায্য ক্ষতিপূরন: নিরাপদ কর্মস্থল নিশ্চিত কর Read Post »

Address

Road: 15, House #09 (1st Floor), Block:C, Section: 06,Mirpur, Dhaka-1216, Bangladesh

©2025 NWUC Copyright All Right Reserved. Developed by MD AnTor Ali

Scroll to Top