News Flash – National Workers Unity Centre

News Flash

News Flash

শ্রমজীবী মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি মেলেনি ৫২ বছরেও

ঢাকা: মহান বিজয় দিবস আজ। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করার দিন। শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় মহান স্বাধীনতা ও বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে গ্রিন বাংলা গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশন ও ন্যাশনাল ওয়ার্কার্স ইউনিটি সেন্টারের যৌথ উদ্যোগে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। শ্রদ্ধা নিবেদনের পর নেতারা বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের ৫২ বছর পেরিয়ে ৫৩ তে পদার্পণের দিন আজ। পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নামক একটি স্বাধীন ভূখণ্ড হিসেবে জানান দেয়ার দিন আজ। দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তি সংগ্রামের মাধ্যমে পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর শোষণ-বঞ্চনার অবসান ঘটিয়ে মুক্তিকামী মানুষ ১৯৭১ সালের এই দিনে বিজয় অর্জন করেছিল। গণতন্ত্রের চেতনা স্বাধীনতা অর্জনের মাধ্যমে পূর্ণতা পেয়েছিল আজকের এই দিনে। অগণিত মানুষের আত্মত্যাগ আর সীমাহীন কষ্টের প্রহর কেটে নতুন সূর্যোদয় ঘটেছিল ১৯৭১ সালের এই দিনে। নেতারা আরও বলেন, মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে দেশের শ্রমজীবী মানুষের অবদান অবিস্মরণীয়। ৫৬ হাজার বর্গমাইলের জনপদে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষরা মুক্তিযুদ্ধ এগিয়ে নেয়ার জন্য সর্বোচ্চ লড়াই করেছে। দেশের কুলি-মজুর, কৃষক-শ্রমিকদের অবদান কোনোভাবেই ছোট করে দেখার অবকাশ নেই। তারা স্বাধীনতা সংগ্রামের সূর্য ছিনিয়ে আনার জন্য দুঃশাসনের শৃঙ্খল ভেঙেছে। স্বাধীনতা ত্বরান্বিত করার জন্য অস্ত্র হাতে যুদ্ধের ময়দানে সম্মুখযুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল। সম্মুখযুদ্ধে অসংখ্য শ্রমিক জীবন দিয়ে বিজয়ের লাল সূর্য অঙ্কিত করেছে। আমরা তাদের অবদানকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি। আজও শ্রমজীবী মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি মেলেনি। যা একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বাধীনতাকামী মানুষের কষ্টকর। গ্রিন বাংলা গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশন ও ন্যাশনাল ওয়ার্কার্স ইউনিটি সেন্টারের সভাপতি সুলতানা বেগমের নেতৃত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশনের সহ-সভাপতি সেলিনা হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ফরিদ উদ্দীন, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক রোজিনা আক্তার সুমি, দফতর সম্পাদক রাবেয়া ইসলাম, প্রচার সম্পাদক মো. তাহেরুল ইসলাম, আশুলিয়া আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি ইউসুফ শেখ, মিরপুর আঞ্চলিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. ফারুক প্রমুখ। সারাবাংলা/ইএইচটি/পিটিএম

শ্রমজীবী মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি মেলেনি ৫২ বছরেও Read Post »

Article, News Flash

ন্যূনতম ২২০০০ টাকা বেতন চান পোশাক শ্রমিকরা

ঢাকা: গার্মেন্টস শিল্প সেক্টরের শ্রমিক-কর্মচারীদের ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার ও ন্যূনতম মজুরি ২২০০০ টাকা ঘোষণার দাবি জানিয়েছে ন্যাশনাল ওয়ার্কার্স ইউনিটি সেন্টার ও গ্রীণ বাংলা গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশন। সোমবার (১ মে) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস- ২০২৩ উপলক্ষে আয়োজিত এক সমাবেশে এসব দাবি জানানো হয়। সমাবেশের সভাপতিত্ব করেন ন্যাশনাল ওয়ার্কার্স ইউনিটি সেন্টার ও গ্রীণ বাংলা গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সভাপতি সুলতানা বেগম। সভাপতির বক্তব্যে সুলতানা বেগম বলেন, মুনাফা লোভী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অমানবিক নিপীড়নের ঐক্যবদ্ধ শ্রমিকের ঐতিহাসিক বিজয়ের ফলে এই মে দিবস, যা যুগের পর যুগ সারা বিশ্বের শ্রমজীবী জনগণকে আন্দোলন সংগ্রামের প্রেরণা জুগিয়ে চলেছে। বাংলাদেশ শ্রম আইনের ১৪৯ ধারা অনুযায়ী প্রতি পাঁচ বছর পর পর ন্যূনতম মজুরি হার সুপারিশের বিধান এবং ১৪০ (ক) ধারায় বিশেষ পারিপার্শ্বিক অবস্থায় নতুনভাবে মজুরি কাঠামো ঘোষণা বিধান আছে। তিনি বলেন, পাঁচ বছর পর পর মজুরি বোর্ড গঠন করে ন্যূনতম মজুরি পুনঃনির্ধারণের আইনগত বাধ্যবাধকতা থাকলেও মজুরি কাঠামো গঠনের কোনো দৃশ্যমান তৎপরতা দেখা যায়নি। বিশ্ববাজারের দোহাই এবং উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধির অজুহাতে ক্রমাগত পণ্যমূল্য বাড়ছে এবং বাড়ি ভাড়া, গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়ছে। এর ফলে শ্রমিকদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। প্রকৃত মজুরি অর্ধেকে নেমে যাওয়ায় শ্রমিকরা অপুষ্টি আর কঠিনতম জীবনযাপন করছে। এ অবস্থায় গার্মেন্টস শিল্প সেক্টরের শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২২ হাজার টাকাসহ মজুরি কাঠামো ঘোষণার দাবি জানাচ্ছি। সমাবেশে থেকে ৮টি দাবি তুলে ধরা হয়। দাবিগুলো হলো- ৭ম গ্রেডের শ্রমিকদের জন্য ৬৫ ভাগ মূল মজুরিসহ ২২০০০ টাকা ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা, শ্রমিক সংগঠনের প্রস্তাবনা বিবেচনায় নিয়ে শ্রমিকবান্ধব শ্রম আইন প্রণয়ন, আইএলও কনভেনশন-১০২, ১৮৯ ও ১৯০ অবিলম্বে অনুসমর্থন, শ্রমজীবী মানুষের জন্য ভর্তুকি মূল্যে রেশন ব্যবস্থা নিশ্চিত, শিল্পাঞ্চলে শ্রমিকদের জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে স্বান্ধ্যকালীন সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্র স্থাপন, প্রাতিষ্ঠানিক-অপ্রাতিষ্ঠানিক সকল সেক্টরে মাতৃত্বকালীন ছুটি ৬ মাস, আসন্ন ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে শ্রমিকদের জন্য সুনির্দিষ্ট বরাদ্দ দেওয়া, বাংলাদেশ এমবিধিমালায় সন্নিবেসিত শ্রমিক স্বার্থবিরোধী বিধিগুলো বাতিল করা।  সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মো. ইলিয়াস, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খাদিজা রহমান, সহ- সভাপতি সুইটি, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ফরিদ উদ্দীন, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক রোজিনা আক্তার সুমি, দপ্তর সম্পাদক রাবেয়া ইসলাম, মিরপুর আঞ্চলিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. তাহেরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক হোসেন, সংগঠক জোসনা বেগম, সালমা বেগম, রোকসানা, আমেনা, সোনিয়া প্রমুখ।

ন্যূনতম ২২০০০ টাকা বেতন চান পোশাক শ্রমিকরা Read Post »

News Flash

যৌন হয়রানি বন্ধে আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়নের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা: বর্তমানে নারীর জন্য কাজের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে ঠিকই কিন্তু নারীর প্রতি সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি এখনো ততটা পরিবর্তিত হয়নি। যার কারণে কর্মস্থলে নারীর কাজের পরিবেশও তেমন অনুকূল হয়ে ওঠেনি।তাই আইএলও কনভেনশন ১৯০ ও কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি বন্ধে হাইকোর্টের নির্দেশনা যথাযথ বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে ন্যাশনাল ওয়ার্কার্স ইউনিটি সেন্টার ও গ্রিন বাংলা গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশন নামের ২টি সংগঠন। শুক্রবার (৮ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক নারী শ্রমিক সমাবেশ ও র‍্যালিতে এ দাবি জানানো হয়। সমাবেশে বক্তারা বলেন, কর্মক্ষেত্রে জেন্ডার বৈষম্যসহ যেকোনো ধরনের বৈষম্য-আইনত: নিষিদ্ধ। যদিও প্রতিটি কর্মক্ষেত্রেই নারীরা বহু ধরনের বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। এখনো আমাদের পরিবারগুলোতে নারীকেই পারিবারিক দায়দায়িত্বের পুরোটাই পালন করতে হয়। পারিবারিক দায়িত্বের বিশাল বোঝা, সামাজিক বাধা উপেক্ষা করে নারী কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করছে। সভাপতির বক্তব্যে ন্যাশনাল ওয়ার্কার্স ইউনিটি সেন্টার ও গ্রিন বাংলা গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি সুলতানা বেগম বলেন, পারিবারিক ও সামাজিক নানাবিধ সমস্যার পাশাপাশি তাকে কর্মক্ষেত্রের নানা ধরনের সমস্যা ও বৈষম্যের শিকার হতে হয়। বেতন বৈষম্য, স্বাস্থ্যসম্মত কর্মপরিবেশের অভাব, অতিরিক্ত কাজ, রাত্রিকালীন কাজ, সাপ্তাহিক ছুটিসহ অন্যান্য ছুটি না পাওয়া, ট্রেড ইউনিয়ন করতে না দেওয়া, এমনকি কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানির মতো জঘন্য ঘটনাও ঘটছে। আমরা আইএলও কনভেনশন ১৯০ ও কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি বন্ধে হাইকোর্টের নির্দেশনা যথাযথ বাস্তবায়ন চাই।

যৌন হয়রানি বন্ধে আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়নের দাবি Read Post »

News Flash

Empowering Workers: The Journey of NWUC

The National Workers Unity Centre (NWUC) began its journey in 2015 with a mission to unite and empower both formal and informal workers across Bangladesh. Over the years, it has emerged as a significant voice for labor rights, embodying principles of organization, training, and movement to improve working conditions and secure better livelihoods for workers. Establishment and Milestones NWUC’s dedication to organizing workers culminated in its official registration on January 25, 2021, following seven years of advocacy and grassroots mobilization. The federation was co-founded by Mrs. Sultana Begum, its President, and Mohammad Elias, the General Secretary—both of whom bring over 35 years of experience in the trade union movement. Under their leadership, NWUC has expanded its reach to 40 districts and now represents 235,568 members, including both paid and unpaid workers from 12 socio-economic sectors. In its most recent congress, held at the National Press Club auditorium, NWUC elected a 35-member executive committee to guide the organization for the next three years. This democratically elected leadership reflects the federation’s commitment to transparency and inclusivity. Organizational Structure and Vision NWUC operates as an independent, democratic organization free from political influence. Its constitution, approved by the Department of Labour, underscores its mission to protect workers’ rights and ensure decent working conditions. The federation focuses on empowering women workers, especially in the ready-made garment (RMG) sector, by promoting safe workplaces, leadership opportunities, and awareness of legal rights. With a strong emphasis on education and training, NWUC equips its members with knowledge of labor laws, leadership skills, and life skills beyond the workplace. The organization also offers legal aid and advocates for gender equality, fair wages, and improved workplace safety. Key Achievements Future Goals NWUC aims to strengthen its presence across Bangladesh, enhance worker solidarity, and amplify grassroots voices in policy discussions. By fostering collaboration with national and international trade unions, it seeks to ensure the implementation of ILO conventions and uphold labor laws. As NWUC continues its journey, it remains committed to creating a self-reliant, prosperous workforce, ensuring dignity, safety, and fairness for all workers. Its transformative approach stands as a testament to the power of collective action and dedicated leadership.

Empowering Workers: The Journey of NWUC Read Post »

Human Rights, News Flash

শ্রমিকদের অধিকার সর্বোচ্চ মানবাধিকার গার্মেন্টস শ্রমিকদের

১০ ডিসেম্বর ২০২৪ইং রোজ মঙ্গলবার সকাল ১১:০০টায় মিরপুর-১১ বাংলা স্কুল এন্ড কলেজ(বালক) এর সামনে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস-২০২৪ উপলক্ষে ন্যাশনাল ওয়ার্কার্স ইউনিটি সেন্টার ও গ্রীণ বাংলা গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের যৌথ উদ্যোগে মানববন্ধন ও র‌্যালী অনুষ্ঠিত। মানববন্ধনে ন্যাশনাল ওয়ার্কার্স ইউনিটি সেন্টারের সভাপতি সুলতানা বেগম এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইলিয়াস, সহ-সভাপতি সুইটি, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক রোজিনা আক্তার সুমি, প্রচার সম্পাদক মোঃ তাহেরুল ইসলাম, ন্যাশনাল ডমেস্টিক ওয়ার্কার্স সেন্টারের সভাপতি খাদিজা আক্তার,সহ-সভাপতি জোসনা বেগম, অর্থ সম্পাদক আমেনা বেগমসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। সভাপতির বক্তব্যে সুলতানা বেগম বলেন শ্রমিকের অধিকার সর্বোচ্চ মানবাধিকার। প্রত্যেকেরই জীবন, স্বাধীনতা এবং নিরাপত্তার অধিকার রয়েছে। মানবাধিকার বিষয়টি গভীরভাবে উপলব্ধি করার জন্য নিজের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হলেই হবে না, অন্যের অধিকারকেও সম্মান করতে হবে। অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসা মানুষের মৌলিক অধিকার হলেও শ্রমিক-কর্মচারীরা অনেক ক্ষেত্রে সে অধিকার থেকে বঞ্চিত। সকল শ্রমিকের কাজের নিশ্চয়তা, সম-কাজে সম-মজুরী, প্রাতিষ্ঠানিক-অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে নারী শ্রমিকদের মাতৃত্বকালীন ছুটি ৬মাস, সহিংসতামুক্ত কর্মপরিবেশ, নিরাপদ কর্মস্থল, সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। আমাদের বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মানবাধিকার সুরক্ষিত রাখার স্বার্থে পরবর্তী বিশ্ব গড়তে নিজ নিজ ভূমিকা পালন করতে হবে। বক্তাগন বলেন দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে শ্রমজীবী মানুষের জীবন নাভিশ্বাস উঠছে। শ্রমিকদের স্বল্প মজুরি, শ্রমিকদের চাকরি হারানোর ঘটনা একদিকে যেমন শ্রমিকদের আশংকিত করছে, তেমনি বাড়িভাড়া ও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি তাদেরকে আরো অসহায় করে ফেলেছে। এহেন অবস্থায় অতিদ্রুত গার্মেন্টস শ্রমিকদের জন্য প্রস্তাবিত বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট ৯ শতাংশ দ্রুত কার্যকর করতে হবে। মানবাধিকার হচ্ছে প্রত্যেকটি মানুষের জন্মগত অধিকার। জন্মগতভাবে সকল মানুষ স্বাধীন এবং সমান সম্মান ও মর্যাদার অধিকারী। মানবাধিকার সব জায়গায় এবং সবার জন্য, এ অধিকার তার আইনগত অধিকার। প্রতি বছর ১০ ডিসেম্বর মানবাধিকার দিবস পালিত হয়ে আসছে। মানবাধিকার বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে মূল দায়িত্ব রাষ্ট্র বা সরকারের। সম্প্রতি নারীর প্রতি সহিংসতা, ধর্ষণ ও হামলার ঘটনা ভয়াবহ রূপ ধারন করেছে। প্রতিনিয়ত কর্মস্থলে যাতায়াতসহ বিভিন্ন সময় নারীরা যৌন সহিংসতার শিকার হচ্ছে। এধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে মামলার বিচার দ্রুত নিষ্পত্তি করে প্রকৃত দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শান্তি নিশ্চিতসহ আইএলও কনভেশন ১০২, ১৮৯ ও ১৯০ অনুস্বাক্ষর করা প্রয়োজন।

শ্রমিকদের অধিকার সর্বোচ্চ মানবাধিকার গার্মেন্টস শ্রমিকদের Read Post »

News Flash

সামাজিক পরিচয়–নির্বিশেষে সকল নারীর ক্ষমতায়ন

সুলতানা বেগম সভাপতি, গ্রিন বাংলা গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশন আমাদের পোশাক খাতের উৎপাদনে নারী শ্রমিকেরা মুখ্য ভূমিকা রাখলেও তাঁরা মজুরির ক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার হন। একই কাজের জন্য পুরুষের তুলনায় নারীদের কম মজুরি দেওয়া হয়। সরকারি চাকরিতে ছয় মাস মাতৃত্বকালীন ছুটি দেওয়া হলেও পোশাকশিল্পে এই ছুটি মাত্র চার মাস। এই বৈষম্য দূর করা খুবই জরুরি; কারণ, এটি নারীর পেশাগত অগ্রগতিতে বাধা সৃষ্টি করে। বাংলাদেশে ট্রেড ইউনিয়ন ও ফেডারেশনে নারী প্রতিনিধিত্ব অত্যন্ত সীমিত। অনেক ফেডারেশনে নারীবিষয়ক সম্পাদক পদ থাকলেও তা কার্যকরভাবে নারীদের স্বার্থ রক্ষা করতে পারে না। যতক্ষণ পর্যন্ত প্রতিটি ফেডারেশনের নেতৃত্বে নারীদের যথাযথভাবে অন্তর্ভুক্ত করা না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত নারীর প্রকৃত মর্যাদা নিশ্চিত হবে না। তাই প্রতিটি শ্রমিক সংগঠনে নারী প্রতিনিধিত্ব বৃদ্ধির উদ্যোগ নিতে হবে।

সামাজিক পরিচয়–নির্বিশেষে সকল নারীর ক্ষমতায়ন Read Post »

News Flash

শোভন কাজ, সামাজিক ন্যায় বিচার, কর্মস্থল ও জীবনের নিরাপত্তার নিশ্চিত-বৈষম্য দূর কর

আজ ০৭ অক্টোবর-২০২৪, সোমবার সকাল ১০:৩০ ঘটিকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গ্রীণ বাংলা গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশন ও ন্যাশনাল ওয়ার্কার্স ইউনিটি সেন্টারের যৌথ উদ্যোগে বিশ^ শোভন কর্ম দিবস-২০২৪ উপলক্ষে শ্রমিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত।গ্রীণ বাংলা গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশন ও ন্যাশনাল ওয়ার্কার্স ইউনিটি সেন্টারের সভাপতি সুলতানা বেগম এর সভাপতিত্বে শ্রমিক সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইলিয়াস, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ফরিদ উদ্দীন, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক রোজিনা আক্তার সুমি, ন্যাশনাল ওয়ার্কার্স ইউনিটি সেন্টারের নারী কমিটির সাধারন সম্পাদক আমরিন হোসাইন এ্যানি, প্রচার সম্পাদক মোঃ তাহেরুল ইসলাম প্রমুখ।বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন খায়রুল আলম মিন্টু, আইন বিষয়ক সম্পাদক, বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র। নেতৃবৃন্দ বলেনবাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি অর্জন করেছে, যার মূল চালিকাশক্তি দেশের শ্রমজীবি মানুষ। দেশের ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং বহুমাত্রিক শ্রমশক্তির উচ্চ দক্ষতা, উৎপাদনশীলতার উন্নয়ন হলেও ন্যায্য পারিশ্রমিকসহ শোভন কাজের সুফলগুলো নিশ্চিত হয়ে ওঠেনি।শ্রমিকদের নিরাপদ কাজের পরিবেশ, সমান আচরণ ও সুযোগ, শ্রম অধিকার এবং ন্যায্য বেতন প্রদান করা হয়, তখন অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও মর্যাদা সমুন্নত থাকে।ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-শ্রমিক-মেহনতি মানুষ আত্মত্যাগ করেছে রক্ত দিয়েছে একটি নিপীড়ন ও শোষণমুক্ত রাষ্ট্র ব্যবস্থার জন্য। ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণঅভূত্থানে অর্জিত স্বাধীনতা শ্রমিকদের মধ্যে গণতান্ত্রিক কর্মপরিবেশ, ন্যায্য মজুরির আকাঙ্খা তৈরি করেছে। বিশ্ব কর্ম দিবসে শ্রমিকদের স্বার্থে নিম্নোক্ত দাবী সমূহ বাস্তবায়ন করতে হবে।(১) শোভন কাজ, সামাজিক ন্যায় বিচার, কর্মস্থল ও জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত- মজুরী বৈষম্য দূর কর ।(২)ক্ষুধামুক্তি ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত কর ।(৩) লিঙ্গ‣বষম্য দূর কর- নারী নিরাপত্তা নিশ্চিত কর।(৪) জলবায়ু পরিবর্তন প্রভাব মোকাবিলায় জরুরী পদক্ষেপ গ্রহন কর।(৫) ট্রেড অধিকার নিশ্চিত কর।(৬) আইএলও কনভেনশন-৮৭ ও ৯৮ বাস্তবায়ন কর।(৭) আইএলও কনভেনশন-১৮৯ ও ১৯০ অনুস্বাক্ষর কর।(৮) সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত কর। সমাবেশ শেষে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালী তোপখানা রোড প্রদক্ষিন করে।

শোভন কাজ, সামাজিক ন্যায় বিচার, কর্মস্থল ও জীবনের নিরাপত্তার নিশ্চিত-বৈষম্য দূর কর Read Post »

Article, Human Rights, News Flash

রেশনিং ব্যবস্থা চালুর দাবিগার্মেন্টস শ্রমিকদের

গার্মেন্টস শ্রমিকদের রেশনিং ব্যবস্থা চালুর দাবি জানিয়েছে গ্রিন বাংলা গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশন ও ন্যাশনাল ওয়ার্কার্স ইউনিটি সেন্টার। বুধবার (১ মে) সকাল সাড়ে ৯টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মহান মে দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত শ্রমিক সমাবেশ ও লাল পতাকা মিছিলে এ দাবি জানান সংগঠনের নেতারা। সমাবেশে গ্রিন বাংলা গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশন ও ন্যাশনাল ওয়ার্কার্স ইউনিটি সেন্টারের সভাপতি সুলতানা বেগমের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মো. ইলিয়াস, সহ-সভাপতি মিসেস সুইটি, সেলিনা হোসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ফরিদ উদ্দীন, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক রোজিনা আক্তার সুমি, নারী কমিটির সাধারণ সম্পাদক আমরিন হোসাইন এ্যানি। আরও বক্তব্য রাখেন দপ্তর সম্পাদক রাবেয়া ইসলাম, আশুলিয়া থানা কমিটির সভাপতি ইউসুফ শেখ, আঞ্চলিক কমিটির মো. তাহেরুল ইসলাম, মো. সুমন হোসেন মোল্লা, মিস্টার শেখ, মো. ফারুক হোসেন, নাসরিন আক্তার, শাবনুর, অঞ্জলী, স্বপ্না আক্তার, নুরজাহান, জোসনা বেগম, সালমা বেগম, রোকসানা ও আমেনাসহ অনেকে। সভাপতির বক্তব্য ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি সুলতানা বেগম বলেন, বিশ্বের শ্রমজীবী মানুষের ন্যায্য অধিকার আদায়ের ঐতিহাসিক দিন আজ। শ্রমিকদের আত্মত্যাগের এই দিনে সারা বিশ্বে একযোগে ‘মহান মে দিবস’ হিসেবে পালিত হচ্ছে। ১৮৮৬ সালের ১ মে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরে শ্রমজীবী মানুষ নিপীড়নের বিরুদ্ধে গড়ে তুলেছিলেন দুর্বার আন্দোলন। আমাদের দেশে এখনো শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি, কর্মঘণ্টা ও নিরাপদ কর্মস্থলের জন্য আন্দোলন করতে হচ্ছে। তিনি বলেন, একজন নারী শ্রমিক শ্রম আইন অনুযায়ী সব অধিকারের সমান অংশীদার হলেও বাস্তবতা ভিন্ন। নারী শ্রমিক অধ্যুষিত গার্মেন্টস ও অন্যান্য ক্ষুদ্র শিল্প ও অপ্রাতিষ্ঠানিক সেক্টরে স্বল্প মজুরি, খণ্ডকালীন নিয়োগ, যখন তখন ছাঁটাই ও অধিক শ্রমঘণ্টায় কাজ করানো হয়। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী নারী শ্রমিকদের কর্মক্ষেত্র থেকে সাপ্তাহিক ছুটি, মাতৃত্বকালীন ভাতা, ছুটি ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পায় না। সমাবেশে নেতারা বলেন, কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় শ্রমিকের মৃত্যু হলে বা কোনো শ্রমিক গুরুতর আহত বা পঙ্গু হলে তাদের পরিবার পুরোপুরি নিঃস্ব হয়ে পড়ে। কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় নিহত বা গুরুতর আহত হয়ে কর্মক্ষমতা সম্পূর্ণ নষ্ট হলে, আইএলও কনভেনশন ১২১ মানদণ্ড অনুযায়ী তাকে আজীবন আয়ের সমান ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। আহত শ্রমিকদের চিকিৎসা, পুনর্বাসন, কাজে ফেরার ব্যবস্থা করতে হবে। সংগঠনের নেতাদের দাবি, শ্রমিক কর্মচারী বা নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য বিশেষ করে গার্মেন্টস, নির্মাণ, পরিবহন, হোটেল, রেস্টুরেন্ট, চা শ্রমিক, রিকশা শ্রমিক, হকার, চাতাল, ওয়েল্ডিং, গৃহ শ্রমিক, বিউটি পার্লার, হিজরা ও অটো রাইস মিল শ্রমিকদের জন্য রেশনিং ব্যবস্থার মাধ্যমে স্বল্পমূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য, যেমন চাল, ডাল, তেল, চিনি সরবরাহ করতে হবে। এই সংকট নিরসনের জন্য বাজারদরের সঙ্গে সংগতি রেখে মহার্ঘ ভাতা প্রদান করা আজ অত্যন্ত জরুরি। শ্রমজীবীদের দাবিগার্মেন্টস শ্রমিকদের রেশনিং ব্যবস্থা চালু করা, ২০২৩ সালে ঘোষিত মজুরি বাস্তবায়ন করা, সকল শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা, অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার নিশ্চিত করা, ৬ মাসের মাতৃত্বকালীন ছুটির আইন করা, জাতীয় বাজেটে শ্রমিকদের জন্য সুনির্দিষ্ট বরাদ্দ, আইএলও কনভেনশন ১০২, ১৮৯ ও ১৯০ অনুস্বাক্ষর করা, শ্রমিক স্বার্থবিরোধী কালো আইন বাতিল করা, নিরাপদ কর্মস্থল ও কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা, আউটসোর্সিং প্রথা ও ছাঁটাই-নির্যাতন বন্ধ করা, অবিলম্বে জাতীয় ন্যূনতম মজুরি কমিশন গঠন করা।

রেশনিং ব্যবস্থা চালুর দাবিগার্মেন্টস শ্রমিকদের Read Post »

News Flash

গার্মেন্টস শ্রমিকদের রেশনিং ব্যবস্থা চালু কর-নারী বান্ধব কর্ম পরিবেশ নিশ্চিত কর

আজ ১লা মে-২০২৪ইং রোজ বুধবার সকাল ০৯:৩০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস-২০২৪ উপলক্ষে গার্মেন্টস শ্রমিকদের রেশনিং ব্যবস্থা চালু – অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার নিশ্চিত করার দাবীতে গ্রীণ বাংলা গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশন ও ন্যাশনাল ওয়ার্কার্স ইউনিটি সেন্টার এর যৌথ উদ্যোগে শ্রমিক সমাবেশ ও লাল পতাকা মিছিল অনুষ্ঠিত। সমাবেশে গ্রীণ বাংলা গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশর ও ন্যাশনাল ওয়ার্কার্স ইউনিটি সেন্টার এর সভাপতি সুলতানা বেগম এর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইলিয়াস, সহ-সভাপতি মিসেস সুইটি, সেলিনা হোসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ফরিদ উদ্দীন, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক রোজিনা আক্তার সুমি, নারী কমিটির সাধারণ সম্পাদক আমরিন হোসাইন এ্যানি, দপ্তর সম্পাদক রাবেয়া ইসলাম, আশুলিয়া থানা কমিটির সভাপতি ইউসুফ শেখ, আঞ্চলিক কমিটির মোঃ তাহেরুল ইসলাম, মোঃ সুমন হোসেন মোল্লা, মিস্টার শেখ, মোঃ ফারুক হোসেন, নাসরিন আক্তার,শাবনুর,অঞ্জলী, স্বপ্না আক্তার, নুরজাহান, জোসনা বেগম, সালমা বেগম, রোকসানা ও আমেনা প্রমুখ।এছাড়াও সংহতি বক্তব্য রাখেন নাগরিক উদ্যোগ এর প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর শান্তানা আইয়ুব।সভাপতির বক্তব্য ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি সুলতানা বেগম বলেন, বিশ্বের শ্রমজীবী মানুষের ন্যায্য অধিকার আদায়ের ঐতিহাসিক দিন আজ। শ্রমিকদের আত্মত্যাগের এই দিনকে সারা বিশ্বে একযোগে ‘মহান মে দিবস’ হিসেবে পালিত হচ্ছে। ১৮৮৬ সালের ১ মে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরে শ্রমজীবী মানুষ নিপীড়নের বিরুদ্ধে গড়ে তুলেছিলেন দুর্বার আন্দোলন।১৩৮ বছর ধরে দুনিয়াব্যাপী শ্রমিকেরা ন্যায্য অধিকার আদায় ও শোষণ নিপীড়নের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ লড়াই সংগ্রাম করে আসছে। আমাদের দেশে এখনো শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি, কর্মঘণ্টা ও নিরাপদ কর্মস্থলের জন্য আন্দোলন করতে হচ্ছে।  একজন নারী শ্রমিক শ্রম আইন অনুযায়ী সব অধিকারের সমান অংশীদার হলেও বাস্তব অবস্থা ভিন্ন। নারী শ্রমিক অধ্যুষিত গার্মেন্টস ও অন্যান্য ক্ষুদ্র্র শিল্প ও অপ্রাতিষ্ঠানিক সেক্টরে স্বল্প মজুরি, খন্ডকালীন নিয়োগ, যখন-তখন ছাঁটাই ও অধিক শ্রমঘণ্টা কাজ করানো হয়। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী নারী শ্রমিকদের কর্মক্ষেত্র থেকে সাপ্তাহিক ছুটি, মাতৃত্বকালীন ভাতা, ছুটি ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পায় না।বক্তাগন বলেন অস্বাস্থ্যকর কর্মপরিবেশ, সুপেয় পানির অভাব, যৌন হয়রানিসহ অনেক সমস্যা তাঁদের প্রতিনিয়ত ভোগ করতে হয়। সমকাজে সমমজুরি ও নারী-পুরুষের মজুরি বৈষম্য তো রয়েছে। ভাত, কাপড়, মাথা গোঁজার ঠাঁই, শিক্ষা ও চিকিৎসার সুযোগ পাওয়া প্রত্যেক মানুষের মৌলিক অধিকার হলেও আমাদের দেশের শ্রমজীবী মানুষের বিশাল অংশ এখনো এই অধিকার থেকে বঞ্চিত।কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় শ্রমিকের মৃত্যু হলে বা কোনো শ্রমিক গুরুতর আহত বা পঙ্গু হলে তাঁদের পরিবার পুরোপুরি নিঃস্ব হয়ে পড়ে। কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় নিহত বা গুরুতর আহত হয়ে কর্মক্ষমতা সম্পূর্ণ নষ্ট হলে, আইএলও কনভেনশন ১২১ মানদন্ড অনুযায়ী তাঁকে আজীবন আয়ের সমান ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। আহত শ্রমিকদের চিকিৎসা, পুনর্বাসন, কাজে ফেরার ব্যবস্থা করতে হবে।শ্রমিককর্মচারী তথা নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য বিশেষ করে গার্মেন্টস, নির্মাণ, পরিবহন, হোটেল, রেস্টুরেন্ট, চাশ্রমিক, রিকশাশ্রমিক, হকার, চাতাল, ওয়েল্ডিং, গৃহহশ্রমিক, বিউটি পার্লার, হিজরা ও অটো রাইস মিল শ্রমিকদের জন্য রেশনিং প্রথার মাধ্যমে স্বল্প মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য, যেমন চাল, ডাল,তেল, চিনি সরবরাহ করতে হবে। এই সংকট নিরসনের জন্য বাজারদরের সঙ্গে সংগতি রেখে মহার্ঘ ভাতা প্রদান করা আজ অত্যন্ত জরুরি।শ্রমিককর্মচারীদের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কারখানা ও শিল্পাঞ্চলভিত্তিক আবাসন, হাসপাতাল ও বিদ্যালয় স্থাপন করে সেখানে স্বল্প মূল্যে অথবা বিনা মূল্যে বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসাব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। কর্মস্থলে সব ধরনের নির্যাতন ও সহিংসতা রোধে আইএলও কনভেনশন ১৯০ অনুস্বাক্ষরও বাস্তবায়ন করতে হবে।সমাবেশ শেষে একটি বর্ণাঢ্য মিছিল হাইকোর্ট মোড়, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়  প্রদক্ষিন করে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এসে সমাপ্ত হয়।  শ্রমজীবি মানুষের দাবী(১) গার্মেন্টস শ্রমিকদের রেশনিং ব্যবস্থা চালু কর। (২) ২০২৩ সালে ঘোষিত মজুরী বাস্তবায়ন কর। (৩)  সকল শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি কর। (৪) অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার নিশ্চিত কর।(৫) ৬ মাসের মাতৃত্বকালীন ছুটির আইন কর। (৬) জাতীয় বাজেটে শ্রমিকদের জন্য সুনির্দিষ্ট বরাদ্দ চাই। (৭) আইএলও কনভেনশন ১০২, ১৮৯ ও ১৯০ অনুস্বাক্ষর কর।(৮)  শ্রমিক স্বার্থবিরোধী কালো আইন বাতিল কর।(৯)  নিরাপদ কর্মস্থল ও কর্মপরিবেশ নিশ্চিত কর।(১০) আউটসোর্সিং প্রথা ও ছাঁটাই-নির্যাতন বন্ধ কর।(১১) অবিলম্বে জাতীয় ন্যূনতম মজুরি কমিশন গঠন কর।

গার্মেন্টস শ্রমিকদের রেশনিং ব্যবস্থা চালু কর-নারী বান্ধব কর্ম পরিবেশ নিশ্চিত কর Read Post »

Article, Human Rights, News Flash

ন্যায্য ক্ষতিপূরন: নিরাপদ কর্মস্থল নিশ্চিত কর

আজ ২৪ এপ্রিল-২০২৪, রানা প্লাজা হত্যাকান্ডের ১১ বছর। শ্রমজীবি মানুষের শোকার্ত এই দিনে গ্রীণ বাংলা গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশন ও ন্যাশনাল ওয়ার্কার্স ইউনিটি সেন্টারের যৌথ উদ্যোগে সাভারে রানা প্লাজার সামনে অবস্থিত শহীদ বেদীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পন করেন।গ্রীণ বাংলা গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশন ও ন্যাশনাল ওয়ার্কার্স ইউনিটি সেন্টারের সভাপতি সুলতানা বেগম এর নেতৃত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইলিয়াস, সহ-সভাপতি সেলিনা হোসেন, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক রোজিনা আক্তার সুমি, নারী কমিটির সাধারণ সম্পাদক আমরিন হোসাইন এ্যানি, প্রচার সম্পাদক মোঃ তাহেরুল ইসলাম, আশুলিয়া আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি মোঃ ইউসুফ শেখ ও মোঃ হান্নান প্রমুখ।নেতৃবৃন্দ বলেন রানা প্লাজা নির্মম হত্যাকান্ডের ১১ বছর আজ। এগারো বছর আগে ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সাভারের রানা প্লাজায় ঘটে দেশের ইতিহাসের এক ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়। ২৪ এপ্রিলের ওই ভবনধস নেহাত কোনো দুর্ঘটনা নয়, বরং তা সুস্পষ্টভাবেই মালিকপক্ষের অবহেলাজনিত হত্যাকান্ড। আট তলা ভবনে অবৈধভাবে স্থাপন করা গার্মেন্ট কারখানাটি ধসে পড়ে নিহত হন ১ হাজার ১৩৪ জন শ্রমিক। ধ্বংসস্তপের নিচ থেকে ২ হাজার ৪৩৮ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। সহ¯্রাধিক শ্রমিক গুরুতর আহত হন; যাঁদের অধিকাংশই  কর্মক্ষমতা হারিয়ে পঙ্গুত্ব জীবনযাপনে বাধ্য হয়েছেন। তাদের সবাই ছিলেন পোশাক শ্রমিক। হৃদয়বিদারক এ ঘটনা শুধু দেশ নয়, নাড়িয়ে দিয়েছিল গোটা বিশ্বের গণমাধ্যমকে।নেতৃবৃন্দ বলেন  বাংলাদেশে শ্রমিকেরা সংগঠিত হওয়ায় শ্রম আইনের কঠিন বাধ্যবাধকতা,কর্মক্ষেত্রে মানবিক অধিকারের অভাব, শ্রমিকের কাজের নিরাপত্তা না থাকায় বাংলাদেশে আইএলও কনভেনশন লঙ্ঘন করা হচ্ছে। কলকারখানাসহ অন্যান্য কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তার বিষয়টি অবহেলা করায় বাংলাদেশ শুধু ঝড়-বন্যার দেশ হিসেবে নয়, দুর্ঘটনাপ্রবণ দেশ হিসেবেও পরিচিত।

ন্যায্য ক্ষতিপূরন: নিরাপদ কর্মস্থল নিশ্চিত কর Read Post »

News Flash

কর্মস্থলে যৌন হয়রানি বন্ধে হাইকোর্টের নির্দেশনা বাস্তবায়নের দাবি

বর্তমানে নারীর জন্য কাজের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে ঠিকই কিন্তু নারীর প্রতি সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি এখনো ততটা পরিবর্তিত হয়নি। যার কারণে কর্মস্থলে নারীর কাজের পরিবেশও তেমন অনুকূল হয়ে ওঠেনি। তাই আইএলও কনভেনশন ১৯০ ও কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি বন্ধে হাইকোর্টের নির্দেশনা যথাযথ বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে ন্যাশনাল ওয়ার্কার্স ইউনিটি সেন্টার ও গ্রিন বাংলা গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশন নামের ২টি সংগঠন। শুক্রবার (৮ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক নারী শ্রমিক সমাবেশ ও র‍্যালিতে এ দাবি জানানো হয়। সমাবেশে বক্তারা বলেন, কর্মক্ষেত্রে জেন্ডার বৈষম্যসহ যেকোনো ধরনের বৈষম্য-আইনত: নিষিদ্ধ। যদিও প্রতিটি কর্মক্ষেত্রেই নারীরা বহু ধরনের বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। এখনো আমাদের পরিবারগুলোতে নারীকেই পারিবারিক দায়দায়িত্বের পুরোটাই পালন করতে হয়। পারিবারিক দায়িত্বের বিশাল বোঝা, সামাজিক বাধা উপেক্ষা করে নারী কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করছে। সভাপতির বক্তব্যে ন্যাশনাল ওয়ার্কার্স ইউনিটি সেন্টার ও গ্রিন বাংলা গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি সুলতানা বেগম বলেন, বাংলাদেশে পোশাক রপ্তানি খাতে অধিকাংশই নারী এবং সবাই দারিদ্রসীমার নিচে বাস করে। এই শিল্প প্রসারের ফলে নারীর অংশগ্রহণ আশাতীতভাবে বৃদ্ধি পায়। এ শিল্পে বর্তমানে কাজ করে প্রায় ৭০ ভাগ নারী শ্রমিক। কিন্তু এই খাতে শ্রমিকদের সর্বাধিক অবদান থাকলেও তারা তাদের ন্যূনতম আইনগত অধিকারসহ মানবাধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সামাজিক অনাচার অবক্ষয় থেকে নারীকে রক্ষার জন্য আইন প্রণয়ন করা হলেও আইনের যথাযথ প্রয়োগ না থাকার কারণে এমনকি আইনের ভুল ব্যাখ্যার কারণে আইনের আশ্রয়লাভ নারীর পক্ষে সম্ভব হয় না। ফলে নারীকে পদে পদে নিগৃহীত হতে হয়, লাঞ্ছিত হতে হয়। নারীর এই বঞ্চনা- লাঞ্ছনা শতগুণ বৃদ্ধি পায় একজন কর্মজীবী- শ্রমজীবী নারীর ক্ষেত্রে। সুলতানা বেগম বলেন, পারিবারিক ও সামাজিক নানাবিধ সমস্যার পাশাপাশি তাকে কর্মক্ষেত্রের নানা ধরনের সমস্যা ও বৈষম্যের শিকার হতে হয়। 

কর্মস্থলে যৌন হয়রানি বন্ধে হাইকোর্টের নির্দেশনা বাস্তবায়নের দাবি Read Post »

Address

Road: 15, House #09 (1st Floor), Block:C, Section: 06,Mirpur, Dhaka-1216, Bangladesh

©2025 NWUC Copyright All Right Reserved. Developed by MD AnTor Ali

Scroll to Top